এই হিংসা, এই মুসলিম বিদ্বেষ হিন্দুদের দিকেই ফিরে আসবে, দেশ আবারও টুকরো হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী করবে

49

প্রতিবেশী নেপাল হিন্দুরাষ্ট্রের তকমা ঝেড়ে ফেলে গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়েছে |অনেক রক্তপাত অনেক অনেক বিতর্ককে পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগোতে চাইছে আমাদের প্রতিবেশী এই ছোট্ট দেশ | কিন্ত মাটির উপরের মাটির নিচের অফুরন্ত সম্পদে সমৃদ্ধ ভারতভূমি গণতন্ত্রের মন্ত্র ভুলে হিন্দুরাষ্ট্রের নাম জপতে শুরু করেছে |দিল্লির যমুনা পার মৃত্যু – উপত্যকা হয়ে উঠেছে | হিন্দুদের একটি অংশ বলছে — খুব বেড়েছিল… |ওদের দুটো দেশ দেওয়া হয়েছে,আরও চাইছে !
চাইছে মানে দেশকে টুকরো করতে চাইছে |এই আশঙ্কা
থেকেই মুসলিম বিদ্বেষ বেড়ে চলেছে | প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে পরে জার্মানিতেও এই রকম বিদ্বেষ তৈরী
হয়েছিল |ইহুদিদের বিরুদ্ধে তৈরী করা হয়েছিল তীব্র ঘৃণা | লক্ষ লক্ষ ইহুদিকে গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে মারা হয়েছিল |তারপর জার্মানি ইহুদি – শূন্য হয়ে গেল | কিন্তু, তারপরে অত্যাচার শুরু হল সাধারণ জার্মানদের বিরুদ্ধে | যাদের চোখের মণি নীল নয়, যাদের মাথার চুল “ব্লন্ড ” নয়, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া শুরু হল | তারপর যুদ্ধ লাগানো হল |
আর যুদ্ধশেষে জার্মানিকে চার টুকরো করে ফেলা
হল |
ইহুদি – বিদ্বেষের মাশুল এই ভাবেই চোকাতে হয়েছিল জার্মানিকে |
জার্মানির এই মর্মান্তিক ঘটনাপ্রবাহ তাই ইতিহাস বই গুলিতে জায়গা পেয়েছে | পৃথিবীর পাঠশালা গুলিতে নবম – দশম শ্রেণীর পড়ুয়ারা সেই ইতিহাস পড়ে ভাবছে, এমনও হয় ! আশ্চর্যের বিষয়, আমাদের ঘরে এখন জার্মানির সেই আগুন দেখা যাচ্ছে |সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের একটি অংশ ভাবছে, ভারত মুসলিম – শূন্য হলেই সব সমস্যা মিটে যাবে |
জার্মানির ইতিহাস বলছে, মুসলিম – শূন্য হলে ভারতের সাধারণ মানুষকে টার্গেট করা হবে | কোল, ভিল, সাঁওতাল, তফসিলি জাতি উপজাতির মানুষেরা হবেন পরবর্তী টার্গেট | সেই টার্গেট পূরণ হলে নতুন করে টার্গেট ঠিক করা হবে | আর দেশ টুকরো টুকরো হওয়ার দিকে এগোবে |
তাই গঙ্গা – যমুনার এই ভারততীর্থে বেড়ে চলা ঘৃণার আগুনকে এখনই শীতল শান্তির জলে নেভানোর পদক্ষেপ করতে হবে |
না – হলে ইতিহাসের ভয়ানক ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে হবে ভারতমাতার সন্তানদের |

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − seven =