এপ্রিলে ভোট হলে জেলা প্রশাসনের যে প্রস্তুতি এখন এই মার্চের শুরুতে প্রত্যাশিত ছিল, তা দেখা যাচ্ছে
না |ব্যালটে ভোট হলে তো এতদিনে হৈ চৈ শুরু হয়ে যাওয়ার কথা | কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ভোটার তালিকার প্রয়োজনীয় সংশোধন – সংযোজন এতদিনে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা | কিন্তু, উত্তর 24 পরগনা জেলা প্রশাসন সেই কাজ এখনও শেষ করে উঠতে পারেনি |
অন্য দিকে প্রস্তাবিত বারাকপুর কর্পোরেশন নিয়ে ধোয়াঁশা তৈরী করা হচ্ছে |
শাসক দলেও পৌর নির্বাচন নিয়ে জোর তৎপরতা চোখে পড়ছে না | শাসক দলে বরং বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই উৎসাহ বেশী দেখা যাচ্ছে |
অবশ্য পৌরসভা গুলির ওয়ার্ড সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রশাসন প্রকাশ করেছে | শাসক দলের তরফে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক পৌরসভা ধরে ধরে ফাইলও তৈরী করে ফেলেছে |
কিন্ত, শাসক দল যখন জেলা বা মহকুমা স্তরে সভা করছে তখন পৌর অঞ্চলের নেতা , কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামীণ অঞ্চলের প্রতিনিধিদেরও ডাকা হচ্ছে |
রাজ্যের পৌরমন্ত্রী বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চলে উন্নয়নের ফিতে কাটছেন কিন্রু পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কিছু কিন্ত সেভাবে বলছেন না |
শাসক দলের হেভিওয়েট নেতারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সভা
গুলিতে শহরের নয়, গ্রামের পরে থাকা প্রকল্প গুলি শেষ করার উপরে বেশী জোর দিচ্ছেন |
শহরে নতুন রাস্তার কাজ না – হলেও গ্রামে গ্রামে ইতিমধ্যেই ফিতে হাতে পঞ্চায়েতবাবুদের ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে | কোথায় ঢালাই রাস্তা হবে, কোথায় রাস্তা কালো হবে, তা নিয়ে বাবুরা আলোচনা
করছেন |
অমিত শাহ কলকাতায় সভা করে যাচ্ছেন, সিপিএম সেই সভার পরের দিনই মিছিলের ডাক দিচ্ছে, আর ঘরে বসে ট্যুইট করে দিদি মনোবেদনা প্রকাশ করছেন — সারা রাজ্যে পৌরসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের নেত্রীর এই গা – ছাড়া মনোভাবই যেন বলে দিচ্ছে, কলকাতা – হাওড়া কর্পোরেশনে ভোট করিয়ে নিয়ে সারা রাজ্যের পৌরসভা গুলির ভোট সামনের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই করাবেন দিদি |
কারণ, সারা রাজ্যে পৌরসভা ভোট হলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতোই শাসক দলের প্রার্থীরা জেতার জন্য জান লড়িয়ে দলের দুর্নাম বাড়িয়ে দেবেন | আর তার প্রভাব পড়বেই পড়বে বিধানসভা ভোটে |
তাই পুজোর পরে নয়, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই সারা রাজ্যে পৌরসভা ভোট হওয়ার সম্ভাবনা বেশী |
বিধানসভা নির্বাচনকেই যে শাসক দল পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তার ইঙ্গিত মিলছে সরকারি কর্মচারীদের মাইনে বাড়া, অন্তত 10 শতাংশ ডিএ ঘোষণার খবর হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া এবং 15 হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণায় | আর আগামী আড়াই মাস ব্যাপী রাজ্য – জোড়া তৃণমূলের ” অভূতপর্ব ” প্রচারে তো গুরুত্ব পাচ্ছে না পৌরসভা নির্বাচন |আসন্ন পৌরভোট নিয়ে অমিত শাহও একটি শব্দ খরচ করেননি |
কেন?