1950-এর পর পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে দলীয় লড়াই হামেশাই দেখা গেছে | লোকসভাতে , বিধানসভায় , মিউনিসিপালিটি আবার পঞ্চায়েত স্তরেও তা চোখে পড়েছে ।
কিন্তু, 2014- র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে যেটা পশ্চিমবাংলায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেটা হলো ভাষাগত সমীকরণ দেখে রাজনৈতিক দল গুলো তাদের শক্তি বৃদ্ধিতে নেমে পড়েছিল। এই দিক থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। 2014- র পর অবাঙালি ভাষাভাষী মানুষেরা বিজেপি র সাথে কোথাও একটা আত্মার যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন । মোদিজিকে তাঁরা ঘরের মানুষ হিসাবে আবিষ্কার করেছিলেন যেন ।
তাই ঘরের মানুষকে তাঁরা উজাড় করে ভোট দিয়েছিলেন |
পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তৃণমূল এই বিষয়টি লক্ষ্য করে বাঙালী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখেনি। ফেসবুক খুললেই বাঙালি সংক্রান্ত পেজ গুলোতে অবাঙালি বিদ্বেষ, আর বাঙালিদের ত্রাতা হিসাবে টিএমসি-কে দেখানো হয়েছে।
সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজপুরে তথাকথিত তৃণমূলের গেমচেঞ্জার সুবোধ অধিকারীর হাত ধরে সেই গোবলয়ের ভাষাগত রাজনীতির ছোঁয়া বিজপুর পেল ।
কাঁচড়াপাড়া মিউনিসিপ্যালিটির দায়িত্বে অবাঙালি, আবার হালিশহর মিউনিসিপালিটিতেও বসতে চলেছে অবাঙালি বাক্তিত্ব ।
স্বাভাবিক ভাবেই বলা চলে কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের সংখ্যাগুরু বাঙালির প্রতিনিধিত্ব করবেন এনারা । তৃণমূলের গেমচেঞ্জার সুবোধ অধিকারী সংখ্যাগুরু বাঙালির আবেগে ধাক্কা দিয়ে, আখেরে বিজেপির রাস্তাতেই কি হাঁটলেন?
আগামী ভবিষ্যৎ বলবে, এই বিজপুরের রাজনীতিতে উনি সত্যি সত্যি খেলা ঘুরিয়ে দিতে
পারলেন, নাকি পারলেন না?