তৃণমূলে দুর্নীতির বাসা, বুমেরাং হবে 2021 – এ,

328

তৃণমূলে দুর্নীতির বাসা, ‘বুমেরাং’ হবে ২০২১-এ! মমতাকে সাবধান করলেন প্রশান্ত কিশোর
——

তৃণমূল কংগ্রেসে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি ও অন্যায় কাজের প্রবণতা। ২০২১-এর আগে তা বুমেরাং হতে পারে তৃণমূলের কাছে। তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দলের প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই প্রবণতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও তা রিপোর্ট আকারে তুলে ধরেছেন তিনি।

1.দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেসে
অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা দুর্নীতি ও অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। বিশেষত লকডাউন চলাকালীন এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বিতরণ নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

2.অবিলম্বে সংশোধন করুন, বার্তা মমতার
তিনি প্রকাশ্যেই তাঁর দলের দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন নতুবা অবিলম্বে নিজেদের সংশোধন করুন, তা না হলে রেয়াত করা হবে না কাউকেই। তৃণমূলের নেতাদের দুর্নীতি ও অন্যান্য অপকর্মে লিপ্ত থাকতে দেখা গেলে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে, জনসমক্ষে সতর্কতা জারি করেন মমতা।

3.মমতা সতর্ক করে দেন দলীয় নেতাদের
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁর দলের বিধায়ক ও সাংসদদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় মমতা সতর্ক করে দেন দলের সকল শ্রেণির নেতাদের। তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনওমতেই দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

4.কাটমানি-কাণ্ডের পরও দুর্নীতির থাবা
অতীতেও তিনি তাঁর দলের নেতাকর্মীদের একইভাবে সতর্ক করেছিলেন। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বাংলায় সিন্ডিকেটরাজ চালানোর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। গত বছর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিপর্যয়ের পরে তৃণমূল সুপ্রিমো দলের নেতাদের কাটমানির টাকা ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন।

5.তৃণমূল নেতারা শোধরায়নি, শঙ্কা পিকের
তারপরও কিন্তু তৃণমূল নেতারা শোধরায়নি। তাঁরা এখনও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তা নিয়েই উষ্মাপ্রকাশ করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি একপ্রকার জানিয়েই দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা এই পথ থেকে সরে না এলে বুমেরাং হয়ে যাবে। আর কোনওভাবেই তৃণমূলকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া যাবে না।

6.’দিদিকে বলো’ প্রচার থিতিয়ে যেতেই
রাজনৈতিক কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দায়িত্ব নিয়েই ‘দিদিকে বলো’ প্রচার অভিযান চালিয়েছিলেন। তাতে প্রভূত সাফল্যও মিলেছিল। তা থিতিয়ে যাওয়ার পর ফের দুর্নীতিতে ডুবে যাচ্ছেন নেতারা। বিশেষ করে পঞ্চায়েতস্তরে ব্যাপক দুর্নীতি চলছে। মানুষের অভিযোগ দূর করতে দিদিকে বলোতে প্রচার চালালেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এবং আরও অনেক অপকর্মের অভিযোগে বিভ্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। দ্রুতও সমর্থনও হারাচ্ছে তৃণমূল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − 3 =