নারী নির্যাতনে অভিযুক্তরা কঠোর শাস্তি পায় না কেন ?

12

মেয়েরা লড়েছে পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে সমানে সমানে।
১৭৭৬ – এর আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে,
ফ্রান্সের ১৭৮৯ – এর বিপ্লবে মেয়েরা ছিল সামনের সারিতে। কিন্ত,ভোটাধিকারের জন্য দীর্ঘ দিন লড়াই চালিয়ে যুক্তরাজ্যের মেয়েরা ১৯২০ সালে এবং ফ্রান্সের মেয়েরা ১৯৪৪ সালে ভোট দেওয়ার অধিকার পান।
###
ভারতের মেয়েরা দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচন থেকে ভোটদানের অধিকার পেলেও এখনও কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের যোগদানের হার মাত্র ২৪ শতাংশ।
মাতৃত্বকালীন সবেতন ছুটির কোন আলোচনাই কোন সরকারি পরিসরে কোন রাজনৈতিক দলের এজেন্ডায় খুঁজে পাওয়া যায় না। সরকারি – বেসরকারি কর্মস্থলে শিশুর জন্য ক্রেশ না থাকায় কাজ ছেড়ে দেন ৫০ শতাংশ মহিলা। কেউ বাধ্যবাধকতার কারণে শিশুকে কোলে নিয়েই ডিউটি করেন। দিল্লি স্টেশনে শিশু – সহ এক মহিলা আরপিএফ কনষ্টেবলের ছবি ভাইরাল হয়েছে আর বোঝা গেছে কতটা প্রয়োজন থাকলে কেউ এই ভাবে ডিউটি করতে পারে।
##
এই সব ছবি – তথ্য বলে দেয়, মেয়েদের অর্ধেক আকাশ বলা হলেও আসলে রাষ্ট্রই তাঁদের সেকেন্ড ক্লাশ সিটিজেন বলে মনে করে।
###
রাষ্ট্র যা ভাবে, গোটা সমাজ তাইই ভাবে।
আর তাই নারী নির্যাতন বন্ধে হাজারো আইন, কন্যাশ্রী – বেটি বাঁচাও থাকলেও অভিযুক্তরা কঠোর শাস্তি পায় না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × three =