পার্থ ভৌমিক কি নৈহাটির দুর্গ রক্ষা করতে পারবেন?

152

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা
যাচ্ছে , এই রাজ্যের শাসক দলের অনেক বিধায়কের দুর্গে বিরোধী দল হানা দিয়েছে। বারাকপুর লোকসভার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে যে এখানকার ৭ টা বিধাসভার মধ্যে মাত্র ২ টি বিধানসভায় শাসক দল বিরোধীদের তুলনায় এগিয়ে আছে। একটি হলো আমডাঙ্গা(৩৬৫৬৬) এবং আরেকটি হলো নোয়াপাড়া(৫২৬)।

নৈহাটি বিধানসভায় বিরোধী দল ১২২৬ ভোটে এগিয়ে আছে( লোকসভা ফলাফলের নিরিখে)। তাই নৈহাটি বিধানসভা ধরে রাখতে স্বাভাবিক ভাবেই ২০২১- এ পার্থ ভৌমিককে জোর লড়াইয়ে যেতে হবে আর সেই লড়াই যে সেয়ানে সেয়ানে হওয়ারই উপক্রম তা বলার অপেক্ষা রাখে না |
তবে পিছিয়ে থেকেও করোনা আবহে ১৫ টিরও বেশি কমিউনিটি কিচেন ১৬ দিন ধরে চালিয়েছেন পার্থ । আমপানের পর রাজ্যের ৬ জেলার পঞ্চায়েত গুলো যখন বিরোধিদের আন্দোলনের কেন্দ্র হিসাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে নৈহাটি বিধানসভা এলাকার ৪ টি পঞ্চায়েত এবং ১ টি মিউনিসিপ্যালিটিতে সেরকম আন্দোলন করার সুযোগ বিরোধীরা পায়নি।

কিন্তু যে বিষয় গুলো পার্থ ভৌমিককে আগামী দিনে চিন্তায় রাখবে, সেগুলো হলো –
২০১৯ -এ সার্বিক ভাবে ১২২৬ ভোটে বিরোধীদের কাছে হার।

মাঝিপাড়া – পলাশী পঞ্চায়েত, জেঠিয়া পঞ্চায়েত, সিবদাসপুর পঞ্চায়েতে I সরকারবিরোধী একটা চোরা স্রোত বইছে। যেটা পঞ্চায়েত চালাতে গিয়ে ভুলভ্রান্তির ফল হিসাবেই দেখা হচ্ছে।
কাঁপা পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটা হলো অবাঙালি ভোট, আর সেনাকর্মীদের মোদীজির প্রতি কিছুটা ভালোবাসা।

আরেকটি বিষয় যেটা আগামীদিনে শাসক দলকে ভাবাবে, সেটি হলো সংখ্যালঘু ভোট। যে দল সরকার গড়বে সেই দিকেই ভোট পড়বে তাঁদের, কিন্তু (সেটা হতে হবে অবিজেপি দল)|সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শিবদাসপুর ও পাল্লাদহ অঞ্চলের মানুষের ভোট খুব তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।

সুবোধ অধিকারী জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক । নৈহাটি বিধানসভার গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোতে তাঁর না যাওয়ার অনীহাও সাংগঠনিক ভাবে তৃণমূলকে পিছিয়ে রাখবে।

তাই ২০২১ -এর লড়াইটা পার্থ ভৌমিকের কাছে এক প্রচন্ড কঠিন লড়াইয়ে পরিণত হতে চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 5 =