২০২১: বীজপুরে হাপনই এগিয়ে
———
আপনারা হয়ত ভাবছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচব কি মরব তাঁর ঠিক নেই-এর মধ্যে আবার ভোটের অঙ্ক। আসলে সবকিছুর মধ্যেই তো ভোটের অঙ্ক থাকে তাই বাধ্য হলাম,-গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো করতে।
সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের অঙ্কের খানিকটা অদলবদল হয়েছে। একথা বলতে দ্বিধা নেই করোনা তথ্য গোপন ও রেশন নিয়ে তৃনমূল খানিকটা ব্যাকফুটে। যদিও তৃনমূল সুপ্রীম রাস্তায় নেমে তা মেকআপ দেওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু সারা রাজ্যের সাথে বীজপুর বিধানসভাকে এক করে দেখলে হবে না।
অতীতে এই বিধানসভার সাথে লাগামহীন ভোট চুরির সম্পর্ক ছিল। বামপন্থী প্রার্থীরা এখান থেকে বিপুল ভোটে জিতত। সকাল ৯টার মধ্যে এখানে ভোট হয়ে যেত। কিন্তু সে গল্প এখন অতীত।
এখন ভোট হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। ২০০৯ এর লোকসভা, ২০১১ বিধানসভা, ২০১৪ লোকসভা, ২০১৬ বিধানসভা ও সাম্প্রতিক ২০১৮ লোকসভা তার উদাহরন। কোনো গুন্ডা মস্তান বাহিনী বুথ লুট করতে সক্ষম হয়নি। গতিপ্রকৃতি যে দিকে যাচ্ছে আগামী বিধানসভা নির্বাচন তার ব্যাতিক্রম হবে না।
এখন আসা যাক বীজপুর বিধানসভার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এখানে তৃনমূল কংগ্রেসের একাধিক গোষ্ঠী। কোনো গোষ্ঠীর সাথে কোনো গোষ্ঠীর মিল নেই। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে এদের মধ্যে একটা প্রবল অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে ইতিমধ্যেই। স্বঘোষিত অবজারভার যদি এখানে প্রার্থী হয় তবে কনেকেই হাত গুটিয়ে নেবেন।
এক গোষ্টির এক নেতা বলছেন, দাদা এখন ভোট হয় ব্যক্তি বায়োডাটার ওপরে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে আমরা কি পরিচয় দিয়ে ভোট চাইব। বীজপুরের মানুষ শিক্ষিত সজ্জন মানুষকে প্রার্থী চায় হাপন যদি বিজেপির হয়ে দাড়ায় সে দিক থেকে সে অনেক এগিয়ে।
এছাড়া এখন বীজপুরে একটা নতুন দলের উৎপত্তি হয়ে। দলের নাম কি? প্রশ্ন করাতে সাবলিলভাবে উত্তর দিল ‘বিজেমূল’। এটা আবার কি? বলাতেই বললেন, বুঝলেন না বিজেপির কামাইখোর আর তৃনমূলের কামাইখোর এক জায়গায়। বিজেপির=বিজে আর তৃনমূলের=মূল এই নিয়ে বিজেমূল। এরা কোন দিকে থাকবে? আর বলবেন না এরা ঐ অবজারভার তাঁর দিকেই থাকবে। এদের দেখে কি বীজপুরের মানুষ ভোট দেবে।
বীজপুরের উন্নয়নের সাথে হাপনের একটা সম্পর্ক আছে এটা বীজপুরের মানুষের অজানা নয়। এছাড়া এই করোনা পরিস্থিতিতে সে মানুষের পাশে অন্তর থেকে দাড়িয়েছে । অসুস্থ মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন যা সত্যিই অভূতপূর্ব।
বীজপুরে চোরা স্রোত প্রচুর। লোকসভা ভোটে যা ছিল তার এই স্রোত একটুও কমেনি বরং বেড়েছে। তাই সবশেষে একথা বলা যায়, ২০২১ নির্বাচনে ভোট গুরু প্রাশান্ত কিশোর ফর্মুলা বীজপুরে ফেল করবে। এগিয়ে থাকবে চানক্য পুত্র শুভ্রাংশু।