কাঁচরাপাড়ার 5 নম্বর ওয়ার্ডের রাণী কামান, কিন্ত নিউজ পোর্টালের অফিসে বেনারসী শাড়ি পরে ক্যামেরার সামনে বসে ” ত্রাণ ” দেন |
আর রাজার ও সবের বালাই নেই |
কামাও আর জমাও |
তাই বলা যায়, দু ‘ জনেই একই… |
সম্ভবত, গত শতকের আশির দশকের শুরুতে
রাণী 5 নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি কেনেন |
তাঁর বাংলাদেশী উচ্চারণ শুনে আমআদমি বলতে শুরু করেন — বাংলাদেশ থেকে উড়ে এসে এই মুরগীপাড়ায় পড়েছে !
রাণী এই 5 নম্বর ওয়ার্ডে পা রাখার পর থেকেই স্থানীয় সিপিএমের সঙ্গে তার ঝামেলা শুরু হয় |
আর রাণীকে মুকুল রায়ের বাড়ির সামনে দেখা যায় |
এরপর কোন এক অজ্ঞাত কারণে রাণী বিজেপিতে নাম লেখান | 2010 থেকে রাণীকে গাড়ি নিয়ে
বিজেপির সভা – প্রচারে দেখা যায় | 2016 – র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজপুরের তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন |
বিজেপির একটি অংশ তার সঙ্গে সে সময় সঙ্গত করেনি |
আড়াই বছর আগে মুকুলবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকলে রাণী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ঢোকেন |
কিন্ত, নেত্রী হতে গেলে নিজেকে বদলাতে হয় |তিনি নিজেকে বদলাতে পারেননি |
এখনও তার কথায় প্রবল বাংলাদেশী টান |
আর তাই এস সি – কে বলেন এছ ছি |
আর পাবলিক হাসে |
এখন রাজার কাছে না পেরে দীপকের মতো কিছু ছেলে রাণীর দলে এসেছে | কিন্ত, রাণী নিজের অগাধ পয়সা ঢেলেও এদের ধরে রাখতে পারবে না, কারণ রাণীর সাংগঠনিক সৃজনশীলতা নেই |
অন্য দিকে এই 5 নম্বর ওয়ার্ডে রাণী নিজের গ্রহণযোগ্যতা এখনও তৈরি করতে পারেননি |
বরং, ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করায় তাকে ঘিরে এই ওয়ার্ডে সব সময়ই ধিকিধিকি উত্তেজনার আগুন জ্বলে |
তাই তাকে এই ওয়ার্ডের সমস্ত কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক |
রাজা এখন 5 নম্বর ওয়ার্ডে থাকেন না |
গুরুদুয়ারা রোডে তিনি প্রাসাদ বানিয়েছেন |
দীর্ঘদিনের ঘটনাক্রমে দেখা যাচ্ছে, রাণীর সঙ্গে রাজার ভাব ” প্যার ” হওয়ার কোন চান্সই নেই |
তাই রাজা এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকলে রাণীর সঙ্গে তার ঝামেলা হবেই |
তাই রাজাকে এই ওয়ার্ডের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে এখানকার 132, 133, 134 বুথের তিন তৃণমূল এজেন্টকে যৌথ ভাবে এই ওয়ার্ডের দায়িত্ব
দেওয়া হোক |
তৃণমূল নেতারা এই 3 জনকে মনিটর করুন |
শহর তৃণমূলের একটি অফিস করা হোক এই ওয়ার্ডে |
কোন ক্লাব বা রেল কোয়ার্টার নয়, এই অফিসকে করে তোলা হোক সমস্ত কর্মকান্ডের কেন্দ্র |
দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত এই অঞ্চলটির দিকে বিশেষ নজর দিক উচ্চতর তৃণমূল নেতৃত্ব |
আর অভাবী, সাধারণ ঘরের 17 তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা ” কেস ” তুলে নেওয়া হোক |
চাইলে 13 জুনের ঘটনা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করুক তৃণমূল |নির্বাচনের আগে এই মারধর, বোমাবাজি বরদাস্ত করা হবে না, কর্মীমহলে এই কড়া বার্তা দেওয়া হোক |
দোষীদের দল থেকে বের করে দেওয়া হোক |