কাঁচরাপাড়া সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক – সহ 5 জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি সমর্থক এক মহিলা |
মহিলার নাম রুবি নন্দী | কাঁচরাপাড়া সিপিএমের লেনিন সরণীর অফিসের সামনের ফুটপাতে তাঁর ফাস্ট ফুড এবং দোসা – দই – বড়ার একটি দোকান
রয়েছে |
দোকানটি পিডব্লুডি – র জায়গায় | 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায় আসে |
আর একদা প্রবল ক্ষমতাশালী সিপিএম অফিসের মুখ ঢেকে দিয়ে 2012 নাগাদ হঠাৎ মাথা
তোলে দোকানটি |
ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন থাকায় দুর্বল কাঁচরাপাড়া সিপিএম এই দোকান – বসানোর প্রতিবাদে তখন সরব হয়নি |
আর যত দিন গেছে, ততোই এই দোকানটির ক্রেতা বেড়েছে | অতি উৎসাহী কিছু ক্রেতা
সিপিএম অফিসের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মহানন্দে দোসা – দইবড়ায় কামড় বসিয়েছেন |
আর তা দেখে সিপিএম কর্মী – সদস্যরা রাগে মাথার চুল ছিঁড়েছেন |
এদিকে গত এক বছর ধরে সিপিএমের সক্রিয়তা বেড়ে চলেছে |
” ভগবান ” দলবদল করে গেরুয়া মুখোশ পড়েছেন |
আর এই সুযোগের মোক্ষম সদ্ব্যবহার করে
তৃণমূল পরিচালিত কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধানের কাছে এই দোকানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে শুরু করে সিপিএম | বলে, পার্টি অফিসের মুখ ঢেকে দিয়ে পিডব্লুডির জায়গায় দোকানটি গড়ে উঠেছে |
ব্যবস্থা নিন |
সিপিএম জানিয়ে দেয়, তারা তাদের অফিসের সামনের বারান্দায় রেলিং বসাতে চায় |
কিন্ত, ” ভগবানকে ” চটাতে চায়নি পৌরসভা |
আর তাই সিপিএমের একের পর এক চিঠি পেয়েও দৃষ্টিনন্দন নীরবতা পালন করে চলে পৌরসভা |
দিন পনেরো আগে সিপিএমের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে
যায় | যুবকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রেলিং বসাতে গেলে হাতাহাতি হয় রুবিদেবীর সঙ্গে |
রুবিদেবীর এক আত্মীয় আঘাত পান |
এরপর বল চলে যায় পৌরসভার কোর্টে |
জমি মাপা হয় |
আর তারপরে রুবিদেবীর প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যায় রায় গেছে সিপিএমের পক্ষেই |
এরপরে বিজপুর থানায় সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক দেবাশিস ( ববি ) রক্ষিত এবং 4 যুবকর্মী কেউর ( পিকন ), দেবর্ষি, রাণা ও লরি
( অরিন্দম )- এর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করতে যান রুবিদেবী |
সেখানে অভিযোগ না করে পরে বারাকপুর মহিলা থানায় এই 5 জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
করা হয় |
এই অভিযোগের কথা জানাজানি হতেই শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে |
অনেকেই বলছেন, রাজনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার জন্য সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে শেষে শ্লীলতাহানির কেস করল বিজেপি |
রুবি নন্দী কী বিজেপি?
রাজনীতির খেলুড়েরা বলছেন, উনি বিজপুরের বিধায়কের অনুগামী |
বিধায়ক এখন বিজেপি | তাই স্বাভাবিক ভাবে ওঁকে তো বিজেপিই বলতে হবে |
উনি তো দাবি করেছেন, ছ মাসের মধ্যে ওই সিপিএম পার্টি অফিসকে নিজের রান্নাঘর বানিয়ে ছাড়বেন |
কেন?
ওঁনার বিশ্বাস, ছ মাসের মধ্যে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে |
তাই নাকি?
তবে রাজনীতির খেলুড়েরা যাই বলুন, আমাদের এই নিউজ পোর্টাল রুবি নন্দীকে বিজেপি বলে দাবি করছে না |
কেননা এমন কোন প্রমাণ আমাদের হাতে নেই |