বিজপুর / কাঁচরাপাড়া : লেনিন সরণীর সিপিএম পার্টি অফিসের ‘ গ্যালারি ‘ অসমাপ্ত, কেন?

133

চিন বিপ্লবের মহানায়ক মাও জেডং বলেছিলেন, কমিউনিস্টদের সামনে তিনটে পাহাড় |
এই তিন পাহাড় হল সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ আর পুঁজিবাদ |
এই তিন পাহাড় ভেঙে ফেলতে পারলেই প্রতিষ্ঠিত হবে সমাজবাদ মানে সমাজতন্ত্র |
তথাকথিত গণতন্ত্র নয়, গুন্ডাতন্ত্র নয়, সমাজতন্ত্র মানে মানুষেরই তন্ত্র |
মানুষ মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমজীবী মানুষ, যে মানুষ সভ্যতার প্রদীপকে জ্বালিয়ে রাখে, কিন্তু তারা থেকে যায় অন্ধকারে | সভ্যতার আলো তাদের
গায়ে পড়ে না |
তাদের জন্যই চাই সমাজতন্ত্র |
কিন্তু গত এক বছর ধরে কাঁচরাপাড়া সিপিএমের সামনে পুঁজিবাদ নয়, সামন্ততন্ত্র নয়, সাম্রাজ্যবাদ নয়, ছিল একটিই পাহাড় — রুবি নন্দীর ফাস্ট ফুড ও দোসার ‘ পাহাড় ‘ |
সেই পাহাড় সরিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা নয়, লেনিন সরণীর পার্টি অফিসের সামনে রেলিং বসানোই ( ঠাট্টা করে সিপিএম কর্মীরা যাকে বলছেন গ্যালারি ) ছিল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্ক্সবাদী )-র কাঁচরাপাড়া এরিয়া কমিটির ‘বিপ্লবের পথে ‘( পড়ুন অফিসে ঢোকার পথে ) এগিয়ে যাওয়ার প্রথম ও প্রধান কর্মসূচী |
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সম্ভবত 2012 সালের পরে রাতারাতি এই ফাস্ট ফুড ও দোসার পাহাড় সৌন্দর্যায়নের অঙ্গ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে |
এরপর উন্নয়নের ঝড় ওঠে আর পাহাড়ের পাশে মাথা তোলে যাত্রী প্রতীক্ষালয় |
সিপিএম অফিসটি ঢাকা পড়ে যায় |
একদা প্রবল পরাক্রান্ত সিপিএম অফিসের বারান্দা হয়ে ওঠে রেস্টুরেন্ট |
নানান খাবারের গন্ধে ঝিমিয়ে পড়া কাঁচরাপাড়া সিপিএম চাঙ্গা হয়ে ওঠে |
ববি কাঁচরাপাড়া সিপিএমের কমান্ডার হলে দোসার পাহাড় ভেঙে ফেলার শপথ নেয় সিপিএমের লাল ফৌজ |
নিজেদের সীমানা চিহ্নিত করে এই ফৌজ |
পৌরসভার সদর দফতরে চিঠির কামান দাগা হয় |
কিন্তু, তাতে কাজ না – হওয়ায় একতরফা ভাবে বারান্দায় যেখানে শীতের রোদ্দুর আসে, সেখানে গ্যালারি তৈরিতে নেমে পড়ে লাল ফৌজ |
প্রতিপক্ষ বাধা দিতে গেলে একটু হাতাহাতি হয় |
একজন একটু আহত হয় |
পাহাড়ের মালকিন ” সুবিচারের আশায় তাঁর ভগবানের”
কাছে ছোটেন |
কিন্ত, এখন তৃণমূল রেফারি |
চলছে করোনার দাপাদাপি | ” ভগবান ” তাই মুখে গেরুয়া মুখোশ পরে ঘরে বসে আছেন |
ভগবান এখন দিবানিদ্রায় |
তাঁর ঘুম ভাঙাতে না পেরে পাহাড়ের মালকিনকে হার মানতে হয় |
কিন্ত, তিনি প্রতিজ্ঞা করে ফেলেন — আগামী ছ মাসের মধ্যে লালফৌজের ঘরকে আমার রান্নাঘর বানিয়ে ছাড়ব |
তিনি এই বলে রণে ভঙ্গ দিলেও এখনও গ্যালারি তৈরি অসমাপ্ত রয়েছে |
তবে কী কমান্ডার মালকিনের হুঙ্কারে ভয়
পেয়ে ” দখলীকৃত ” এলাকা ছেড়ে
পিছু হটে যেতে চাইছেন কমান্ডার?
চুক্তিভঙ্গ করা হয়েছে কি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 20 =