বিজপুরের অভিভাবক আইসি ত্রিগুণা রায় সাহেব
শুনতে পাচ্ছেন ?
বিজপুর অঞ্চল দিনের পর দিন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। টাকা ছিনতাই, চুরি , দেহব্যবসা বিজপুরে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ওয়ার্কশপ রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তা থেকে , যেটা কিনা বিজপুর থানার নাকের ডগায়, টাকা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে।
বাগমোড়ের মতো অঞ্চলেও সেই একই ঘটনা ঘটছে । কাঁপা হাইরোড অঞ্চলও বাদ নেই। এই উৎসবের মরসুমে তাই মানুষকে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
তারপরে দিনের পর দিন রাজনৈতিক হিংসা বেড়েই চলেছে। তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক জাঁতাকলে পড়ে বিজপুরের মানুষ তিতিবিরক্ত- ভীত । তৃণমূলের কর্মীরা পর্যন্ত বলতে বাধ্য হচ্ছেন, রাতে এলাকাতে বেরোতে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন ।
তাহলে কী ধরে নিতে হবে সরকারি দল তৃণমূল বিজপুর পুলিশ প্রশাসনের ওপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে ? সাধারণ মানুষের মনে এও প্রশ্ন জাগছে , বিজপুর যে ভালো নেই তার প্রমাণ তৃণমূলের ছোট-বড় নেতারাই নিজেদের আচরণে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ।
প্রায় সব নেতার দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরা প্রমাণ করছে, তৃণমূল নেতারা আর পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না। নেতারা দেহরক্ষীর আড়ালে থেকে নিরাপদ জীবন যাপন করছেন,আর সাধারণ মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ হাতে নিয়ে বিজপুরে চলাফেরা করছেন।
এই ভাবে পুলিশ প্রশাসনের অবনতিকে অনেকেই ক্যাপ্টেন-এর ব্যর্থতা হিসাবেও ধরছেন । খেলাতে দল হারলে অনেক সময় ক্যাপ্টেনর পদত্যাগের দাবি ওঠে , সেই ভাবেই পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতার জন্য “পুলিশ-ক্যাপ্টেন” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (পুলিশ মন্ত্রী)কেউ দায়ী করে না বসেন ।
তাই ব্যর্থতা ঢাকতে যদি কিছুটা সক্রিয় ভূমিকা পুলিশ পালন করে, তবে হয়তো বিজপুরবাসী কিছুটা শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারেন।