ছ মাস পরে বিধানসভা নির্বাচন । কিন্তু,এক বাহুবলীর দাপটে বারাকপুর লোকসভার অধীন ৭- টি বিধানসভার মধ্যে ৬-টিতে ( আমডাঙা বাদে ) প্রার্থী বাছাই করতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ।
বারাকপুরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত আর প্রার্থী হবেন না বলে এক প্রকার জানিয়েই দিয়েছেন । তাই এক বাহুবলীকে প্রার্থী করতে ভিতরে ভিতরে গুটি সাজচ্ছিল তৃণমূল । কিন্ত, ” বারাকপুরের কৃষ্ণ “- র চালে সেই বাহুবলী এখন মাঠের বাইরে । ফলে বারাকপুর বিধানসভা নিয়ে অথৈ জলে পড়েছে তৃণমূল ।
নোয়াপাড়ায় অর্জুন- আত্মীয় সুনীল সিং- এর বিরুদ্ধে মঞ্জু বসু দাঁড়াতেই পারবেন না ।
জগদ্দলের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক পরশ দত্ত দলের পারফরমেন্স-এ খুশী নন । প্রকাশ্যে সেই মনোভাব তিনি প্রকাশ করে দিয়ে সামলাতে না পেরে ছুটে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন । তিনিও আর দাঁড়াবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ।
আমডাঙার বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল অবশ্য নির্বাচন লড়ার জ্ন্যে তৈরি । দেহরক্ষী ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিয়ে জনসংযোগে নেমে পড়েছেন ।
ভাটপাড়ায় অর্জুন- নন্দনের বিরূদ্ধে সোমনাথ শ্যাম প্রার্থী হলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলায় পুলিশ- প্রশাসনের কোন সাহায্য না পেলে কী যে হবে তা জেলা তৃণমূল নেতারা জানেন ।
নৈহাটির বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক হেরেই বসে আছেন । তিনি কী এবার প্রার্থী হতে চাইবেন?
বিজপুরে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন, তা তৃণমূল ভেবে উঠতে না- পারলেও প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় সেরে ফেলেছে বিজেপি । রাজ্যের প্রধান বাম দল সিপিএমও পিছিয়ে নেই ।
বাম- কংগ্রেস সমঝোতা হলে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফর্মুলা মেনেই বিজপুর আসনটি পাবে সিপিএম । সমঝোতা না- হলেও বামেদের আসন ভাগাভাগিতে বিজপুর সিপিএম-এর ভাগেই
পড়বে ।
তাই এই আসনে প্রার্থী বাছাই মোটামুটি নাকি সেরেই ফেলেছে জেলা সিপিএম । জেলনেতা তড়িত তোপদার- গার্গী চ্যাটার্জীদের প্রথম পছন্দ-এর সেই প্রার্থী হলেন বিজপুরের পরিচিত সিপিএম নেতা শম্ভু চ্যাটার্জী । স্থানীয় অফিসিয়াল সিপিএম- এর বিপরীতে একটি গোষ্ঠীর মুখ শম্ভুবাবু ।
অন্য দিকে বিজপুরের গত দু ‘ বারের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবার বিজেপির হয়ে প্রার্থী হতে চলেছেন । স্থানীয় বিজেপির একটি অংশ তাঁর প্রার্থীপদের বিরোধিতা করলেও সেই বিরোধিতা হালে পানি পাবে না, জানাচ্ছেন বিজেপির এক
কেন্দ্রীয় নেতা ।