বিজপুর : যুব নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি, শহর তৃণমূলের সভাপতি, এগিয়ে সুজিত – অংশুমান

280

তৃণমূল দলে গণতন্ত্রবাবু পাত্তা পান না | এই দলে নেতা -নেত্রীরা নির্বাচিত হন না | এই দলের ভিত্তি হল স্বজনপোষণ | নেত্রী তাঁর কাছের লোকেদের বেছে নেন | এই কাছের লোকেরাই নেত্রীর স্টাইলে তাঁদের অধস্তনদের বেছে নেন | সেই অধস্তনরা আবার তাঁদের অধস্তনদের একই স্টাইলে নেতা – নেত্রী বানিয়ে দেন | আর তাই এই দলে নেতা – নেত্রী হতে গেলে  আদর্শ তেলব্যবসায়ী বা চামচে হতে হয় | রোজ সকালে – বিকেলে বড়ো নেতার বাড়িতে হাজিরা এবং নজরানা দিতে হয় | তারপরে কারও লটারি লাগে, কারও লাগে না |

উপরের নেতার বদান্যতায় জনসমর্থন না – থাকলেও এই দলে জেলানেতা হওয়া যায় | বিজেপি থেকে এই দলে ঢুকলে জামাই আদর এবং নীলগাড়ি কিংবা বডিগার্ড পাওয়া যায় | এই দলে একবার নেতা হতে পারলে হাতে উঠে আসে আলাদিনের কামাইয়ের প্রদীপ | বছর দুয়েকের মধ্যেই কোটিপতি হওয়া যায় | তাই এই দলে এমনকি লোকাল নেতা হওয়ার জন্য লাইন পড়ে যায় | প্রায় মাস খানেক ধরে  এই জন্যই কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর তৃণমূলের যুব সভাপতি এবং শহর তৃণমূলের সভাপতি হওয়ার জন্য লাইন দেখা যাচ্ছে | কমিটিতে নাম তোলার জন্য বড়ো বড়ো নেতাদের বাড়িতে সভাপতি হতে উৎসুকরা  হাজিরা দিচ্ছেন | আর ফিরে এসে অনুগামীদের বলছেন —- মনে হচ্ছে ২০ তারিখের আগে কিছু হবে না | আবার কারও অনুমান, নভেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করতে হবে |আর সেপ্টেম্বরে না হলে বিধানসভা নির্বাচনের পরে নাম ঘোষণা করতে হবে | বরং এটাই ভালো হবে | পৌরসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে ওস্তাদি দেখিয়ে সভাপতির পোস্ট দাবি করা যাবে |

এদিকে খবর , দুই শহরের  সভাপতির দৌড়ে এগিয়ে আছেন সুজিত দাস এবং অংশুমান রায় | হালিশহরে লাইনে আছেন প্রণব লোহ  এবং প্রবীর সরকার | প্রসঙ্গত, ২৩ মার্চের পরে অংশুমান এবং প্রণব বিজেপিতে গেলেও একদা অর্জুন- অনুগামী প্রবীর দল ছাড়েননি |

যুব সভাপতির দৌড়ে হালিশহরে সোনাই এবং কাঁচড়াপাড়ায় কমল এগিয়ে | কাঁচরাপাড়ায় যুব সভাপতির পদ নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি হচ্ছে | লাইনে রয়েছেন রাজাও |রাজার বিরুদ্ধে বিবেকানন্দ হকার মার্কেটে দোকানঘর বিক্রির অভিযোগ তোলা হচ্ছে | লোকাল তৃণমূল সভাপতি “রাজা তোলাবাজ “বলে লিখিত ভাবে দলের ম্যানেজারদের জানিয়ে দিয়েছেন | এদিকে কমলের বিরুদ্ধে রবীন্দ্র পল্লীতে রেলের জমি ভরাট করে বিক্রির অভিযোগ তোলা হচ্ছে | হাইরোডে এল এন্ড টি- র কাজে কমল জিনিসপত্র সাপ্লাই দিচ্ছে কী করে — এমন প্রশ্ন উঠে আসছে | জাগুলি, শিবদাসপুর ,দিঘা ও তারাপীঠে কমলের পিকনিক নিয়ে শহর জুড়ে জোর জল্পনা চলছে | আর এই পিকনিকের বহর দেখে অনেকের মনে হচ্ছে — সভাপতির দৌড়ে কমলই বোধহয় এগিয়ে |

এদিকে কাঁচরাপাড়া তৃণমূল শহর সভাপতির দৌড়ে  রয়েছেন সুজিত দাস, দিলীপ ঘোষ ,সোনালী সিংহরায় এবং বর্তমান শহর তৃণমূল সভাপতি খোকনবাবু | এই  ৪ জনের কেউই ২৩ মার্চের পরে বিজেপিতে যাননি | এখনও পর্যন্ত খবর এগিয়ে সুজিত |

তবে তৃণমূল দলে সবই সম্ভব | তাই পাশার দান যে কোন সময় উল্টে যেতে পারে |

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 1 =