কাঁচরাপাড়ার 5 নম্বর ওয়ার্ড কামাইয়ের খনি |
সেই খনির দখল নিয়েই এখানে শুরু হয়েছে রাজা ও রাণীর ঝগড়া |
তৃণমূল নেতারা রাজা – রাণীকে ঢিলাম ঢিল দিয়ে এসেছেন | আর আস্কারা পেয়ে দুজনেই
নেতাদের হাতের বাইরে চলে গেছেন |
নেতারা ঢিল দিয়েছেন কেন?
কোন নেতা ঢিল দিয়েছেন পয়সার লোভে, কোন নেতা দল ভারী করার জন্য ঢিল দিয়েছেন |
আর এখন এমন হয়েছে যে সুতো শেষ হয়ে গিয়ে তৃণমূলের ঘুড়ি ভো – কাট্টা হয়ে যেতে
বসেছে |
অন্য গোষ্ঠীকে টাইট দিতে এখানকার একটি গোষ্ঠী বিজেপিতে নাম লেখানোর ছক কষতে
শুরু করে দিয়ে অনেক দূর এগিয়েও গেছে |
এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে, কেউ কেউ বলে থাকেন, এক বিজেপিতে চলে যাওয়া বিধায়কের হাতেগরম
যোগাযোগ রয়েছে |
এইজন্য নাকি রায়পরিবার – বিরোধী যুবনেতা রাণীর সুতো ধরে আছেন |
কারণ, রাণী উঠতে – বসতে – মঞ্চে – মঞ্চের পিছনে -শয়নে – ঘুম থেকে উঠে – ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে রায়পরিবার- এর বিরুদ্ধে তলোয়ার চালান |
সেই তলোয়ার এবার ঘুরে গেছে রাজার দিকে |
রাজার কিছু সেপাই রাণীর দলে ভিড়েছেন |
আর রাণীর দল ভারী হয়েছে |
আর বহু দিন পরে রাণী রাজার জমি কিছুটা দখলে আনতে পেরেছেন |
রাণীর এক সেনাপতি দীপক সরকার 13 জুন রাতে কালিনগর রোডে মার খেয়েছেন |
আর রাণী রাজার 17 সেপাইকে আদালত পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পেরেছেন |
এই 17 – এর মধ্যে তিন জন আবার রাজার
কমরেড ইন আর্মস |
এরা আবার নির্বাচনী যুদ্ধে এজেন্টের ভূমিকায়
থেকে গুরুত্বপূর্ণ রণনীতি তৈরি করে দলকে
নাকি জিতিয়ে থাকে |
এই তিন ক্ষুব্ধ |
ভীষণই ক্ষুব্ধ |
এরা রাজা-রাণীর বিরুদ্ধে কী অস্ত্রে শান দেবে?
তবে এরা তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করলে কামাইয়ের খনির দখল নিয়ে কামড়াকামড়ি বাড়বে |
আর আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের ঘুড়ি ভো – কাট্টা হয়ে যাবে |
কাল চতুর্থ কিস্তি |