শুভ্রাংশু কী ভাবে বদলা নেবেন

257

শুভ্রাংশু সম্প্রতি এক পথসভায় বলেছেন, আগে বদলা, তারপরে বদল ।
কাদের বিরুদ্ধে বদলা?
শুভ্রাংশুর বক্তব্য, যারা তার বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময়ে কুকর্ম করেছে , যারা তাঁকে মঞ্চে বসিয়ে রেখে তাঁর বাবা মুকুল রায়কে বিশ্বাসঘাতক বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়া হবে ।
সত্যিই কী বদলা নেবেন শুভ্রাংশু?
পারবেন বদলা নিতে?
২০১১- র বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে শুভ্রাংশু মৃণালকান্তি সিংহরায়কে প্রায় একঘরে করে দিয়ে বদলা নিয়েছিলেন । কারণ, অনেকের মতো তাঁরও মনে হয়েছিল তাঁকে হারাবার জ্ন্য অন্তর্ঘাত করেছিলেন মৃণালবাবু ।
পরবর্তীতে এক ” দুর্ঘটনার জেরে ” মারা যান
মৃণালবাবু । সেই ” মৃত্যুর জ্ন্য দায়ি মুকুল রায় “, এই মর্মে
আদালতের শরণাপন্ন হন মৃণালবাবুর এক আত্মীয়া । তখন মুকুলবাবু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঢুকেছেন । পরপর বেশ কটি ডেট পড়ে এই কেসের । তারপর সেই কেস হারিয়ে গেলেও সেই আত্মীয়া তৃণমূলে ভেসে ওঠেন । কাঁচরাপাড়ার গান্ধী মোড়ে মৃণালবাবুকে সামনে রেখে মুকুলবাবুকে তুলোধোনা করা হয় ।
মৃণালবাবুর মূর্তি শহরের প্রাণকেন্দ্রে বসানো হবে বলে এক বিধায়ক কসম খান । সেই মূর্তি অবশ্য এখনো বসেনি । কিন্তু সেই আত্মীয়া তৃণমূলের নেত্রী হয়ে নাকি তিন তিন জন বডিগার্ড পেয়ে গেছেন ।
সম্প্রতি, নদিয়ার এক তৃণমূল বিধায়ক খুনের চার্জশিটেও নাম বাদ গেছে মুকুল রায়ের ।
তাই বলাই যায়,বদলা বলতে শুভ্রাংশু রক্তারক্তি বা খুন- জখম বোঝাতে চাননি । কেননা ২০১০ থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নামার পড়ে , দু- একটি কর্মকাণ্ডে বিশ্রী ভাবে তার নাম জড়িয়ে গেলেও খুন- জখমে তার নাম উঠে আসেনি । বরং ২০১১- র পরে এলাকাছাড়া বামকর্মীরা তার সহযোগিতায় এলাকায় ফিরতে পেরেছিলেন ।
আবার তৃণমূলে থাকাকালীন দলে তার অতি বিরোধীরাও যখন গোপনে তার সঙ্গে যোগযোগ করেছেন,তিনি তার বাবার মতোই সমঝোতায় চলে এসেছেন ।
বিজ্পুর তৃণমূলে কান পাতলে এখনও শোনা যায়,অনেক তৃণমূল নেতা দূরভাষে তার সঙ্গে যোগযোগ রাখেন । এমনও কানাকানি চলে যে তার মর্জিমাফিক চলেন তৃণমূলের অনেক নেতা । বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসলেও বা ক্ষমতায় আসার আগে তাই তিনি বদলা নিতে পারবেন না, বরং সমঝোতায় চলে আসবেন । এমনকি যারা তার বাড়ির সামনে কুকর্ম করেছেন, তারাও তার কাছে এলে তিনি বদলা নেবেন না । আর এইজ্ন্যই অর্জুন সিং এখন তার ও তার রাজনৈতিক বন্ধু ।
অথচ, এই অর্জুনই শুভ্রাংশু মঞ্চে ( যখন দু ‘জনেই তৃণমূলে)
থাকলেও শুভ্রাংশুর বাবা মুকুল রায়কে গদ্দার বলেই থামতেন না, মুকুলবাবুকে যা খুশী তাই বলতেন । আর এখন সেই অর্জুনই বিজেপি দলে শুভ্রাংশু ও তার বাবার কাছের মানুষ ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

one + 7 =