ডানা ছেঁটে দাও |
কী ভাবে?
ওকে এমপি করে দাও | তা হলে হিল্লি – দিল্লি
করবে | এই রাজ্যে আর “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ” ইন্ধন যোগাতে পারবে না |
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মানে আলিমুদ্দিনের মৌরসীপাট্টায় ভাগ দাবি করা |
যে বলিয়ে – কইয়ে নেতা এই রাজ্যে আলিমুদ্দিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করতেন, তাঁকে এমপি মানে সাংসদ করে ডানা ছেঁটে দেওয়া হত |
চৌত্রিশ বছরের সিপিএম জমানা ডানা ছাঁটার এই শিক্ষা লাভ করেছিল পূর্ববর্তি কংগ্রেস জমানার জুতো পায়ে গলিয়ে |
বর্তমানে এই রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসও এই রাজ্যের কংগ্রেসি – সরকারী বাম দের এই ডানা ছাঁটার শিক্ষা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করে চলেছে |
বলিয়ে – কইয়ে সৌগত রায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, দীনেশ ত্রিবেদীদের দিল্লি পাঠিয়ে ক্লাব রাজনীতি থেকে উঠে আসা ফিরহাদ হাকিম – সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে সামনে রেখে চালানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
অবশ্য শুধু এই ভঙ্গ বঙ্গে নয়, বিহার, ওড়িশা – সহ তামাম ভারতবর্ষে এই একই ট্র্যাডিশন চলছে |
কিন্ত, বঙ্গ বিজেপি সেই ট্র্যাডিশন ভঙ্গ করে দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষকেই দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি পদে রেখে দিয়েছে |
দিলীপবাবু সাংসদ | আবার তিনি রাজ্য সভাপতিও |
তাঁর অনেক গুণ থাকতে পারে |এটাও হতে পারে, দল তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে ভেবেছিল, তিনি জিতবেন না | কিন্তু, যখন জিতে গেলেন, তাঁর ডানা ছাঁটা গেল | মানে এই রাজ্যে দেওয়ার মতো সময় তাঁর কমে গেল |
কিন্ত, 2021 – এ এই রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন | এই রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রহরে কেন সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের মতো একজন “পার্টটাইমার “- কে বেছে নিল বিজেপির মতো কর্পোরেট কালচারে রপ্ত একটা দল?
সারদা, নারদ আর রোজভ্যালি নিয়ে দায়সারা তদন্ত চালিয়ে এবং দিলীপবাবুর মতো একজন আংশিক সময়ের ব্যক্তিকে রাজ্য সভাপতির পদে রেখে দিয়ে বিজেপি কী কোন বার্তা দিতে চাইছে?
রাজনীতি হল সম্ভাব্যতার শিল্প, এই বিসমার্কীয় প্রবাদকে কী বিজেপি এই রাজ্যে এই ভাবে ভুল প্রমাণ করার খেলায় নেমেছে?
নাকি অন্য কোন গেমপ্ল্যান রয়েছে বিজেপির?