5 জুলাই রাতে বিজপুরের বলদেঘাটা – রামপ্রসাদের ভিটে অঞ্চলে তৃণমূল -বিজেপির সংঘর্ষে 8 জন আহত হয় | তৃণমূল এবং সিপিএম সমর্থকদের 10 টির মতো মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয় |
সাংসদ অর্জুন সিংহের তিনটি গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়|
এদিন বলদেঘাটা অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অফিসে বোমাবাজি করার পরে পুড়িয়ে দেওয়া হয় |
এদিনের ঘটনার কয়েক দিন পরে এখন পরিষ্কার হচ্ছে, বিজেপি এদিন আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল |
বলদেঘাটা মোড় থেকে 10 মিনিটের দূরত্বে রাজা দত্তর বাড়িতে সভা চলাকালীন সময়ে অর্জুনবাবুর গাড়িতে ভাংচুর হওয়ার পরে বিজেপি কর্মী – সমর্থকেরা বলদেঘাটা পর্যন্ত তান্ডব চালায় |
এর পরে পুলিশ – ৱ্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পরে তৃণমূল কর্মীরা রাস্তায় নামেন |
রাজাবাবুর বৈদ্যপাড়ার বাড়িতে ভাংচুর চলে |
বালিভাড়ার একটি বিজেপি অফিস ভাঙা হয় |
অর্জুনবাবুকে হেলমেট পরিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় |
ঘটনাস্থল থেকে কাঁকিনাড়ার এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ | সে ” কথা কম বলে ” |
এদিকে ঘটনার পরদিন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং পরিষদীয় সচিব পার্থ ভৌমিক সভা করে 5 জুলাইয়ের ঘটনার নিন্দা করে বলেন — বারাকপুর লোকসভার অধীন 7 টি বিধানসভা আসনেই জয়ী হবে দল |
বিজেপি এদিন প্রতিবাদ সভা করে |
তৃণমূলের বিজপুর বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী পরে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন —-
রক্ষী ছেড়ে দিক অর্জুন, আমিও রক্ষী ছেড়ে দেব, লড়াই হোক, দেখা যাবে…. |
এদিকে এই সমস্ত ঘটনায় দৃষ্টিনন্দন নীরবতা পালন করে চলেছেন বিজপুরের বিধায়ক |