দুর্নীতি এবং নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে হালিশহর পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যেতে হল অংশুমান রায়কে | এর আগে তাঁকে শো – কজ করেছিলেন জেলা নেতৃত্ব |
অন্য দিকে, আগেই 22 নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর রাজু সাহনি তাঁকে প্রকাশ্যে অপমানিত করেছেন, এই অভিযোগ তুলে জেলা নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন |
11 জুলাই তাঁকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় |
খবর, তৃণমূলের বিজপুর বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারীর কাছের লোক রাজু সাহনি অংশুমানের চেয়ারে বসতে চলেছেন |
রাজু হলেন প্রাক্তন প্রয়াত কাউন্সিলর লক্ষণ সাহনীর ছেলে | 2012-13 সালে রাজা দত্তর নেতৃত্বে সিপিএম কাউন্সিলরদের মেরে – ভয় দেখিয়ে তৃণমূল পৌরবোর্ড দখল করে | সেই সময় কিছু দিনের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন লক্ষণ সাহনি | সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন তিনি | সিপিএমের রামশঙ্কর লবির ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি |
2015 সালের পৌরসভা নির্বাচনে তাঁরই সুপারিশে 22 নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাঁর ছেলে রাজুকে জেতায়
তৃণমূল |
তবে, রাজুর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে |´
যেমন তাঁর ব্যবসা আছে, কিন্তু চোখেই দেখা যায়
না | আগে হালিশহরে দেখা যেত না, এখন হালিশহরে দেখা গেলেও নিজের ওয়ার্ডে থাকেন না |
পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের কাছ থেকে তাঁর ওয়ার্ডের নাগরিকদের শংসাপত্র নিতে হয় |
যাই হোক রাজু প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হলে বিজপুর এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হবে |
আর তা হল বাঙালি – প্রধান বিজপুরের দুটি পৌরসভারই প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন অবাঙালি |
প্রসঙ্গত, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সুদামা রায়ও অবাঙালি |
অন্য দিকে, এতদিন বিজপুরে ছিল রায় – পদবীধারীদের আধিপত্য |
হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং বিজপুরের বিধায়ক, তিন জনই ছিলেন রায় |
এবার হালিশহরে সেই রায় – আধিপত্যে চিড় ধরল |