এক জন জেলা সাধারণ সম্পাদকের কাছে কোনটা সহজ হতে পারে?
যেদিন থেকে সুবোধ অধিকারী দায়িত্ব পেয়েছেন, প্রায় সেদিন থেকে বারাকপুর লোকসভা অঞ্চলে তৃণমূল পার্টি অফিস উদ্ধার, বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের আবার নতুন করে তৃণমূলে জায়গা করে দিয়েছেন। ওনার কার্যকলাপ দেখে মনে হয়েছে, উনি জেলার নেতা কম, কাঁচড়াপাড়া, হালিশহর, নৈহাটি(শহর),জগদ্দলের স্থানীয় নেতা।
তাহলে বলা যায়, উনি বারাকপুর লোকসভায় নিজের দিক থেকে খুব কমফোর্ট জায়গা তৈরী করে রেখেছেন। আবার যদি দেখা যায়, ওনার কনভয় যে ভাবে কাঁচড়াপাড়া, হালিশহরে ঘোরাঘুরি করে তাতে মনে হয় বিজপুর বিধানসভাটা ওনার হাতের মুঠোয়।
এলাকায় এলাকায় ছোট ছোট পার্টি অফিস গুলিকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটকে নিজের আয়ত্বে আনার প্রচেষ্টা মনকে কিছুটা সান্তনা দেওয়ার মতো কাজ।
বিজপুর বিধানসভায় ২০১১-র আগে বামেদের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বৃন্দাবন দাসের হাতে ২০০টি ক্লাব ছিল, যার কেন্দ্র ছিল ‘সোপান ‘। সেই ‘সোপান’২০১১-তে মানুষের মতামতকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি।
সেই প্রেক্ষিতে তাকালে বলতে হয়, বিজপুরের মানুষ ২০১৯-এ তৃণমূলের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। কারণ তৃণমূলের ২৪৮২৬ -টা ভোট বিরোধী শিবিরে চলে
গেছে । তাহলে বুঝতে হবে বিধানসভা
হিসাবে ” বিজপুর” তৃণমূলের ক্ষেত্রে যেমন খারাপ, সুবোধ অধিকারীর ক্ষেত্রেও তেমন খারাপ।
তাহলে কি নৈহাটি পক্ষে তৃণমূলের তুলনামূলক সহজ কেন্দ্র ? তৃণমূলের কিছুটা সংগঠিত ভোট আছে, পাশাপাশি একবারে ঘরের ছেলে, কাছের ছেলে বলেও পরিচয় দেওয়ার সুযোগ আছে।
যাই হোক বিজপুরটা সেফ নয়।
লোকসভার ক্ষেত্রটাও সুবোধবাবুর কাছে খুব একটা সহজ হবে না। আনুমানিক ১৫ লক্ষ ভোটার এই বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছেন । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পার্টি অফিস পুনরুদ্ধার করাটা ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলবে , এটা ভাবা উচিত হবে না।
তাহলে সুবোধ অধিকারীকে তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা প্রার্থী হিসাবে কোথায় দেখবেন? প্রশ্নটা রয়ে গেল।