আর ভাঙবে না তৃণমূল, ক্ষমতায় তাই আসবে না পদ্মফুল

268

শাসক দল বিরোধী জোর হাওয়া বইতে শুরু করেছিল 2001- এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে  | আর সেই হাওয়ায় গা ভাসিয়ে শাসক ফ্রন্টবামের চক্রবর্তী সুভাষ, সৈফুদ্দিন চৌধুরী আর সমীর পুততন্ডুরা দল ছাড়ার ছক কষেছিলেন | সুভাষ দলে থেকে যাওয়ায় সেই যাত্রায় নির্বাচনী বৈতরণী কোন রকমে পার হয়ে যায় বড়োদাদা সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট |

দিল্লিতে এই রাজ্যের আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির  মস্তিস্কপ্রক্ষালনী ছ দিনের মিটিঙে উঠে এসেছে এই 2001 – র প্রসঙ্গ |

কেন্দ্রের এবং রাজ্যের নেতারা একমত হয়েছেন, এখন এই রাজ্যে 2001- র মতোই শাসক দল বিরোধী জোরালো হাওয়া বইছে | কিন্ত, শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা চলতি বছরের শেষে দল ছেড়ে আলাদা মঞ্চ তৈরি না – করলে প্রতিষ্ঠানবিরোধী এই হাওয়াকে বিজেপি কাজে লাগাতে পারবে না |  এই রাজ্যে ” উনিশে  হাফ, একুশে তৃণমূল সাফ হবে না ” | মানে এই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না |

বিজেপি নেতাদের মাথাব্যথার কারণ  90- টি কঠিন আসন | যে  90 -টি   আসনে রয়েছে 35 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট | এই 90- টি আসনে সংখ্যাগুরু ভোটের মেরুকরণ করা না – গেলে এবং 2019 – এ পাওয়া 40.5 শতাংশ ভোটকে 45 শতাংশে নিয়ে যেতে না – পারলে 2001- এর মতোই শাসক দল বিরোধী ভোট ভাগের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় চলে আসবে, তাও  বিজেপি নেতাদের আলোচনায় উঠে এসেছে |

শেষে বলি, যত দিন যাচ্ছে, ততোই তৃণমূলের ওই প্রভাবশালী নেতার দল ছাড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে | আর 90 – টি আসনে সংখ্যালঘুরা যে বিজেপি বিরোধী প্রধান শক্তিশালী দলটিকেই একজোট হয়ে বেছে নেবেন, তা সবাই জানেন |

এই রকমই একটি আসন বারাকপুর লোকসভার অধীন আমডাঙা বিধানসভা | এখানে বিজেপি নেতারা জেতার আশা কি স্বপ্নেও করেন?

আর এটা তো দেখাই গেছে, কোন সর্বভারতীয় দল কোন রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনে যতটা ভোট পায়, বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভোটের অন্তত 3 – 5 শতাংশ কমে যায় |

তাই চিন্তন বৈঠক চলুক | বস্তা বস্তা নস্যি উড়ুক |

কিন্ত…. |

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × two =