নদিয়া তৃণমূল পেরেছে । উত্তর ২৪ পরগনা তৃণমূল এখনও পারেনি । হাজারো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকা সত্বেও নদিয়া কমিটি গঠন করে ফেলেছে । কিন্তু, উত্তর ২৪ এখনও পারেনি । নদিয়া শুধু কমিটি গঠনই করেনি, এমন কমিটি ঘোষণা করেছে যে তা প্রতিটি গোষ্ঠীকে খুশী করেছে ।
উত্তর ২৪ পরগনা পারছে না কেন?
পারছে না । তার মানে কী এই জেলার তৃণমূল – পরিবারে ঠোকাঠুকি- কামড়াকামড়ি নদিয়ার থেকেও বেশী ?
তার মানে কী বর্তমান জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষের বনিবনা হচ্ছে না?
পাঁচ জন কো- অর্ডিনেটরের সঙ্গে কী প্রতি পদে পদে খটাখটি বাঁধছে নির্মল- জ্যোতিপ্রিয়র?
কো- অর্ডিনেটরদের হাতেই কী সমস্ত ক্ষমতা তুলে দিয়ে বালু- নির্মলকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে?
কো- অর্ডিনেটরদের মধ্যেও নাকি কুস্তি চলছে!
জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি দেবরাজকে নাকি কাজই করতে দেওয়া হচ্ছে না ? তিনি একটি জেলা যুব কমিটি তৈরি করতে গিয়ে নাকি এক নেতার পায়ে হোঁচট খেয়েছেন?
আর এই বারো ঘর তেরো উঠোনের কারণেই নাকি কমিটি তৈরি করা যাচ্ছে না ।
তার মধ্যে আবার পিছন থেকে পিকে- র গুঁতোও অনেকের পছন্দ হচ্ছে না ।
আর এই সব দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে কাজের মানুষেরা দল ছাড়তে চাইছেন অথবা বসে যাচ্ছেন । শীলভদ্র দত্ত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে আর তিনি তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হবেন না ।
এর পরেও অবশ্য কুস্তি থামছে না ।
কমিটি তৈরী হচ্ছে না ।
আর নিচুতলার কর্মীদের হতাশা গ্রাস করছে ।
দল উত্তর ২৪ পরগনাকে খরচের খাতাতেই ফেলে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে দলের কর্মীদের ।
জেলার বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক এই কুস্তি দেখেই