ইদানিংকালে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় নিজেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে দেখাতে বেশি পছন্দ করছেন। এই জন্যই হয়তো ভোট সমীকরণের কথা মাথায় রেখে বিজপুরের মানুষের রাজনৈতিক শিক্ষাকে কারও কারও মতে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নিজেকে একজন শিক্ষিত, অরাজনৈতিক ব্যাক্তি হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করলেন তাঁর বিজয়া-শুভেচ্ছার কার্ডে।
রাজ্য জুড়ে যখন বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, রাজ্যের হেভিওয়েট নেতারা দৌড়ে বেড়াচ্ছেন , শুধু মাত্র এটা বোঝানোর জন্য যে বিজেপি লড়াইয়ের ময়দানে আছে, তখন মুকুল-পুত্র নিজেকে বিজেপির সাথে না-জড়িয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছেন ? ব্যাক্তি শুভ্রাংশু কি বিজপুর- সাংগঠনিক বিজেপির থেকেও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান ?
বিজেপির তকমা যদি গায়ে নাই লাগাতে চান, তাহলে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি পার্টিতে যোগদান করলেন কেন ?
নাকি তৃণমূলের দেওয়া বিধায়ক পদটা এখন তাঁর কাছে খুব প্রিয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
শুভ্রাংশু মাঝে মাঝে বলতে ভালোবাসেন যে, উনি “বাপ কা বেটা” । কিন্তু কার্য ক্ষেত্রে তাঁর এই ভালোলাগার কথার সাথে কাজের মিল পাওয়া যায় না। পিতা মুকুল রায় তৃণমূলের সদস্যপদ তথা তৃণমূল থেকে পাওয়া রাজ্যসভার সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করে বিজেপি পার্টিতে যোগদান করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে শুভ্রাংশু তাঁর বাবার পথ অনুসরণ করেননি। বিধায়ক পদ তিনি ছাড়েননি। তাইই হয়তো কৌশলগত কারণে কোন দলের বিধায়ক না বলে “বি.টেক, এম বি এ বিধায়ক” বলাটা উচিত মনে করেছেন।
এই অরাজনৈতিক তকমা নিয়ে বিজপুরের মানুষের ভালোবাসা পাবার যে চেষ্টা তা কতটা সফল হবে আগামী দিনে জানা যাবে ।