Home কলকাতা দিদি, ” ঘুষ ” দেওয়া বন্ধ করে প্রত্যেক বিধানসভার অন্তত ছ ‘...
- দিল্লির মতো রাজধানী শহরের সমস্ত সরকারী স্কূল গুলিতে ছাত্র – সংখ্যা বাড়ছে | কিন্তু, কাঁচরাপাড়া – হালিশহরের মতো মফস্বল শহরে ছাত্রর অভাবে প্রাইমারি স্কূল গুলো উঠে যাচ্ছে | হাইস্কূল গুলিতে ছাত্র – সংখ্যা প্রতি বছরই কমছে | এই প্রবণতা যে এই রাজ্যের সর্বত্র বাড়ছে, এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় 30 হাজার পরীক্ষার্থী কমার পরিসংখ্যানেই তা প্রমাণিত |
- এই রাজ্যের সান্ত্রী – মন্ত্রীরা সাফাই দিচ্ছেন, দিল্লি ছোট রাজ্য , সেখানে সব স্কুল গুলোকে স্মার্ট স্কুলে বদলে দেওয়া সম্ভব | দিল্লির জনসংখ্যা দেড় থেকে 2 কোটি | পশ্চিম বঙ্গের 9 থেকে 10 কোটি |
- ঠিক আছে | যখন পুরো রাজ্যে পারা যাবে না, তখন সিকি রাজ্যে করা হোক | প্রত্যেক বিধানসভার অন্তত তিনটি প্রাইমারি এবং তিনটি মাধ্যমিক স্কুলকে স্মার্ট ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বদলে ফেলা হোক |
- এর জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ করার দরকার নেই | ” ঘুষ ” দেওয়া বন্ধ করে সেই অর্থ ঢালা হোক এই সব স্মার্ট স্কুলে |
- একশো দিনের কাজ বা এমজিএনরেগা প্রকল্পে কাজ করে পয়সা পাচ্ছেন গরীব মানুষেরা | একে ” ঘুষ ” বলা যাবে না | কিন্তু, পশ্চিম বঙ্গ সরকার এস সি / এস টি – দের 1000 টাকা পেনশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে | এটা ” ঘুষ ” | ক্লাব গুলোকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে | এটা ” ঘুষ ” |
- রূপশ্রী প্রকল্পে সাজগোজের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে | এটা ” ঘুষ ” |
- এই ” ঘুষ ” দেওয়া বন্ধ হোক | আর এই টাকা খরচ করা হোক স্মার্ট স্কুল গুলোর পিছনে |
- অর্থের অভাবে এই রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে | যতই বই – খাতা – পোশাক দেওয়া হোক না কেন, অধিকাংশ শিক্ষক লুম্পেন হয়ে ওঠায় দিনের শেষে গরীব মানুষের হাতে পড়ে থাকছে পেন্সিল |
- প্রাইভেট টিউশন না – দিলে লেখাপড়া শিখতে পারছে না পড়ুয়ারা | লুম্পেন শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাশ নেয় না, কিন্তু টিউশনের ব্যাচে প্রশ্ন ফাঁস করে |
- কিন্ত, স্মার্ট স্কুলে থাকে কড়া নজরদারি |
- লুম্পেন শিক্ষকদের টাইট দেওয়া যায় |
- তাই, একদিকে এই লুম্পেন স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন এবং ফাঁকিবাজি বন্ধে করা হোক কড়া পদক্ষেপ, অন্য দিকে প্রত্যেক বিধানসভার অন্তত ছ’ টি ( তিনটি প্রাথমিক এবং তিনটি মাধ্যমিক ) স্কুলে স্মার্ট ইংরেজি মাধ্যম চালু করা হোক |
