দিদি, আড়াই মাসে আড়াই কোটি মানুষের কাছে আপনার পঁচাত্তর হাজার ভাইবোন পৌঁছে তো
যাবেনই |
কিন্তু, এই ভাইবোনদের ভাবমূর্তি এই আড়াই মাসে সাফসুতরো হবে তো?
আপনার এই নিচুতলার নেতানেত্রীরা সকাল হলেই পাট্টা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ঠিকেদারকে চমকে, সাট্টাবাজকে ফোন করে মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে, জমি কেনাবেচার কমিশন নিয়ে উপবাস-ভঙ্গ ( ব্রেকফাস্ট ) করেন |অবশ্য সিপিএম আমলে সাইডলাইনে থাকা জমির দালাল কিংবা ঠিকেদারেরা এখন আপনার দলের মিছিলে স্লোগান তোলেন | কেউ কেউ তো কাউন্সিলর কাম জমির দালাল, প্রধান কাম জমির দালাল,কাউন্সিলর কাম বিজেপির দালাল, নেতা কাম রেলকোয়ার্টারের কমিশনখোর,নেতা কাম বালিচোর – মাটিচোর,নেতা কাম দেহব্যবসায়ী, সরকারি বাড়ির কমিশনখোর |
দিদি, এরা আপনার আড়াই মাসের কর্মসূচির সামনের সারিতে থাকবেন ভুঁড়ি – শোভিত পাঞ্জাবী পরে , ব্রেসলেট এবং পাঁচ আঙুলে পাঁচটি জ্যোতি ঠিকরোনো আংটি পরিহিত হাত দুলিয়ে, গলায় সোনার হার এবং কানে দামি মোবাইল লাগিয়ে |
দিদি, ইতিমধ্যেই আপনার দলের পার্ট সভাপতিরা দলবল নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝতে পারছেন, কী ভীষণ ক্ষোভ আপনার দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের মনে জমা হয়েছে |
তাই দিদি অনুরোধ, বিজেপিকে ঠেকাতে আগে সৎ, সাধারণ, ঘরের ছেলেমেয়েদের বেছে নিন |
পুরনো কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান , পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্য এবং ছোট – বড়ো নেতাদের পোশাকের এবং আচরণের রাজনীতির গুরুত্ব বোঝাতে আপনি নিজে ক্লাশ নিন |এদের আপনার আড়াই মাসের কর্মসূচির পিছনের সারিতেও থাকতে দেবেন না |একদম নতুন ছেলেমেয়েদের এই আড়াই মাসের কর্মসূচিতে নামিয়ে তাদের মধ্যে থেকে নতুন নেতা বেছে নিন |
আর দিদি, পাঁচ বছর পর এই নতুনরা যখন পুরনো হয়ে যাবেন, তখন তাদের সরিয়ে ফের নতুনদের দায়িত্ব দিন |
দিদি, দেখবেন তাহলেই দলে ঢেউ খেলবে এবং আপনি যা চাইছেন তা পেয়ে যাবেন |
দিদি, জানি, আপনি চাইলে সবই করতে পারেন | এইজন্য সিপিএম কর্মীরা বলেন,
দিদি আনপ্যারালাল |