নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী | এই দলে রয়েছেন বঙ্গললনা সুমি বিশ্বাস | মানবদেহে ট্রায়াল চালানোর প্রথম পর্যায়ে রয়েছে সুমিদের বানানো প্রতিষেধক |কিন্ত, তার জন্য শত্রুটিকে ভালো ভাবে চেনা প্রয়োজন |
সেই চেনানোর কাজটি করে ফেলেছেন কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স – এর দুই বাঙালী বিজ্ঞানী পার্থপ্রতিম মজুমদার ও নিধানকুমার বিশ্বাস |
এই দুই বিজ্ঞানীর গবেষণাপত্রটি 27 এপ্রিল ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত হয়েছে |
2019 সালের ডিসেম্বর থেকে 2020 সালের 6 এপ্রিল পর্যন্ত 55 টি দেশের 3636 জন করোনা – রোগীর দেহ থেকে ভাইরাস – নমুনার আরএনএ সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করে তাঁরা 11 ধরনের ভাইরাস খুঁজে পান |
এর মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক এ2এ | আমাদের দেশে ইউরোপ – আমেরিকা থেকে এ2এ এসেছে | এরা ফুসফুসে ঢুকে সংক্ৰমণ ছড়ায় |এদের বলা হচ্ছে ” করোনা রাণী ” |
এই রাণীর স্পাইকে থাকা প্রোটিন মানুষের ফুসফুসে থাকা ” এসিই2 ” প্রোটিনটিকে কাজে লাগিয়ে কোষের উপরিভাগে জুড়ে যায় | এরপর ফুসফুসেরই আর একটি প্রোটিন রাণীকে কোষের ভিতরে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে |
এই ভাইরাসটি সম্পর্কে পুরোপুরি জানা জরুরি | না হলে প্রতিষেধক তৈরি হলেও তা সবার শরীরে কাজ করবে না |