চলতি মাসের পয়লা দিন থেকে একত্রিশে জুলাই পর্যন্ত একটি পয়সাও রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের থেকে নিতে পারবেন না |
প্রাপ্য কমিশন এবং পরিবহন খরচও তাঁরা এখন পাবেন না | এই বারাকপুর মহকুমার ডিলারদের খাদ্যশস্য পরিবহনের এবং কমিশনের বিল জমা দিতে হবে বারাকপুর ট্রেজারিতে | এই আপৎকালীন সময়ে সেই বিলের টাকা পেতে জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যাবে |
এদিকে আছে আবার পাড়ার তৃণমূল দাদা – বিজেপি দাদাদের উৎপাত | এই দাদা – দিদিদের আবদারও মেটাতে হবে |
তাহলে রেশন ডিলারদের সংসার চলবে কি করে? দাদা – দিদিদের আবদার মেটাতে কি করতে হবে?
চুরি করতে হবে | ওজনে কম দিতে হবে |
এমনিতে অবশ্য অনেক মানুষই বিরাট লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে আসবেন না | বয়স্ক মানুষেরা লাইনে দাঁড়াতে পারবেন না | আর বহু মানুষ তো কার্ড থাকলেও রেশন নিতে আসেন না |
হিসেব বলছে, প্রায় চল্লিশ শতাংশ গ্রাহক রেশন নিতে আসেন না নানান কারণে | রেশন ডিলাররা সেই বাড়তি শস্য রেশন দোকানে নিয়ে আসেন না | কিন্ত, বিল তৈরি
হয় |আর রেশন ডিলাররা সেই বাড়তি উদ্বৃত্ব খাদ্যশস্য ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে বিক্রি করে দেন | সেই টাকার পরিমান কম নয় | সেই টাকায় মস্তি সে সংসার চলে যাওয়ার কথা |
অন্য দিকে, যে খাদ্যশস্য ডিলাররা রেশন দোকানে নিয়ে আসেন, অভ্যেস অনুযায়ী সেখান থেকেও তাঁরা চুরি
করেন | যেমন, PHH এবং SPHH কার্ড যাঁদের আছে তাঁদের তিন জনের পরিবারের এই মে মাসে পাওয়ার কথা 8কেজি 550 গ্রাম আটা | কোন কোন রেশন দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে ন ‘ টা প্যাকেটের জায়গায় আটটা প্যাকেট অর্থাৎ 7 কেজি 600 গ্রাম |
এই ওজনে কম দেওয়া খাদ্যশস্য দিয়ে তো দাদা – দিদিদের আবদার মেটানো যায় |
দাদা – দিদিরা রেশনবাবুদের চুরি, ওজনে কম দেওয়া এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে 40 থেকে 50 শতাংশ খাদ্যশস্য বেচে দেওয়ার গল্পটা জানেন |
তাই যেখানেই রেশন ডিলাররা দাদা – দিদিদের ভুলভাল বুঝিয়ে আবদার মেটাতে চাইছেন না, সেখানেই ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঝামেলা করা হচ্ছে |