চুরি করা, খাদ্যশস্য বাজারে বেচে দেওয়াটাই এই রাজ্যের রেশন ডিলারদের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে, মন্ত্রী করছেনটা কি?

52

চলতি মাসের পয়লা দিন থেকে একত্রিশে জুলাই পর্যন্ত একটি পয়সাও রেশন ডিলাররা গ্রাহকদের থেকে নিতে পারবেন না |

প্রাপ্য কমিশন এবং পরিবহন খরচও তাঁরা এখন পাবেন না | এই বারাকপুর মহকুমার ডিলারদের খাদ্যশস্য পরিবহনের এবং কমিশনের বিল  জমা দিতে হবে বারাকপুর ট্রেজারিতে | এই আপৎকালীন সময়ে  সেই বিলের টাকা পেতে জুতোর শুকতলা ক্ষয়ে যাবে |

এদিকে আছে আবার পাড়ার  তৃণমূল দাদা – বিজেপি দাদাদের উৎপাত | এই দাদা – দিদিদের আবদারও মেটাতে হবে |

 

তাহলে রেশন ডিলারদের সংসার চলবে কি করে? দাদা – দিদিদের আবদার মেটাতে কি করতে হবে?

চুরি করতে হবে | ওজনে কম দিতে হবে |

এমনিতে অবশ্য অনেক মানুষই বিরাট লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে আসবেন না | বয়স্ক মানুষেরা লাইনে দাঁড়াতে পারবেন না | আর বহু মানুষ তো কার্ড থাকলেও রেশন নিতে আসেন না |

হিসেব বলছে, প্রায় চল্লিশ শতাংশ গ্রাহক রেশন নিতে আসেন না নানান কারণে | রেশন ডিলাররা সেই বাড়তি শস্য রেশন দোকানে নিয়ে আসেন না | কিন্ত, বিল তৈরি

হয় |আর রেশন ডিলাররা সেই বাড়তি উদ্বৃত্ব খাদ্যশস্য  ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে বিক্রি করে দেন | সেই টাকার পরিমান কম নয় | সেই টাকায় মস্তি সে সংসার চলে যাওয়ার কথা |

অন্য দিকে, যে খাদ্যশস্য ডিলাররা রেশন দোকানে নিয়ে আসেন, অভ্যেস অনুযায়ী সেখান থেকেও তাঁরা চুরি

করেন | যেমন, PHH এবং SPHH কার্ড যাঁদের আছে তাঁদের তিন জনের পরিবারের এই মে মাসে পাওয়ার কথা 8কেজি 550 গ্রাম আটা | কোন কোন রেশন দোকান থেকে দেওয়া হচ্ছে ন ‘ টা প্যাকেটের জায়গায় আটটা প্যাকেট অর্থাৎ 7 কেজি 600 গ্রাম |

এই ওজনে কম দেওয়া খাদ্যশস্য দিয়ে তো দাদা – দিদিদের আবদার মেটানো যায় |

দাদা – দিদিরা রেশনবাবুদের চুরি, ওজনে কম দেওয়া এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে 40 থেকে 50 শতাংশ খাদ্যশস্য বেচে দেওয়ার গল্পটা জানেন |

তাই যেখানেই রেশন ডিলাররা দাদা – দিদিদের ভুলভাল বুঝিয়ে আবদার মেটাতে চাইছেন না, সেখানেই ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঝামেলা করা হচ্ছে |

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × two =