বয়স হয়েছে, চেয়ারম্যান সুদামা রায়ের ডাক্তার দেখানো উচিত : বিজপুরের বিধায়ক

120

পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব,- হাসে অন্তর্যামী। বিজপুরের কাঁচরাপাড়ার থানার মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালুকে কেন্দ্র করে কৃতিত্ব কার? এই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে কাঁচরাপাড়ায় |

২৯ জুলাই কাঁচরাপাড়ার থানার মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। বাস পরিষেবা চালুর দিন রাজ্য পরিবহন দপ্তরের এক আধিকারিক দেবাশিস রক্ষিতকে দেখা গেছিলো থানার মোড়ে তদারকি করতে। তার উদ্যোগেই নাকি এই বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। দেবাশিস সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক। অবশ্য তিনি কখনোই রাজনৈতিক ভাবে এই কৃতিত্ব দাবী করেননি। সরকারি আধিকারিক হিসেবে যা উদ্যোগ নেওয়ার তাই তিনি নিয়েছেন।

এরপর দেখা যায় বিজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের কিছু গুণমুগ্ধ ফলোয়ার ২০১৭ সালের একটি চিঠি স্যোশাল মিডিয়ায় দিয়ে দাবী করেন, বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় পরিবহন দপ্তরকে এই চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন, তার সুফল হিসেবে এই বাস পরিষেবা চালু হয়।

এরপর থেকেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক বিতর্ক। কাঁচরাপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের গুনমুগ্ধদের এই পোস্টকে যুক্তি দিয়ে খন্ডন করার চেষ্টা করেন | পৌর প্রশাসক সুদামা রায় বলেন, আমরা পৌরসভা থেকে আবেদন করেছিলাম সরকারের কাছে যাতে লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কাঁচরাপাড়ার থানার মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সরকারি সরকারি বাস পরিসেবা চালু করা হয় | তা হয়েছে |এই কৃতিত্ব কখনই শুভ্রাংশু রায়ের নয়।

এই বিতর্ক নিয়ে 2 জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। তিনি ২০১৭ সালের চিঠির উল্লেখ করে বলেন, আমি কখনও বলিনি এই কৃতিত্ব আমার। এই কৃতিত্ব একমাত্র বিজপুরবাসীর। তারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে বলার জায়গা না করে দিতেন তাহলে আমি বলতে পারতাম না। তিনি আরো বলেন, আমি এর আগেও কাঁচরাপাড়া থেকে সেক্টর-৫ পর্যন্ত বাস পরিষেবা চালুর কথা বলেছিলাম। সেখানেই আবেদন করি ধর্মতলা থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত পরিষেবা চালু করার জন্য। দীঘা বাস পরিষেবার কথা আমিই বলেছিলাম।

সুদামাবাবু এখানেই প্রশ্ন তোলেন | বলেন, তিন বছর আগের চিঠি, এখন সেটা কার্যকর হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সুদামা রায় শুভ্রাংশু রায়ের দাবীকে পুরোপুরি নস্যাৎ করেন। এই প্রশ্ন পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক সিপিএম নেতা দেবাশিসবাবুও তোলেন।

কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে পড়ে থাকা বাস টার্মিনাসের প্রসঙ্গ উঠলে বিধায়ক বলেন, আমি প্রশাসনিক মিটিং-এ এই নিয়ে বারবার আবেদন করেছি ওখান থেকে বাস চালানোর বিষয়ে। সেই মিটিং -এ সুদামাবাবু উপস্থিত থাকতেন। এই সময় তিনি বলেন, আসলে ওনার স্মৃতি শক্তিলোপ পেয়েছে, ভালো ডাক্তার দেখানো উচিত।

তিনি বলেন, হালিশহর পৌরসভায় অরজকতা চলছে। কতজন শাসক দলের নেতা রয়েছে, কে মাথা, সেটাই আমি জানি না। বিজপুরের তৃনমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারির নাম না করে বলেন –কে কোথা থেকে এসে বসে পড়েছে, সিকিউরিটি নিয়ে ঘুরছে সেটাও আমি জানি না। কারা এই দুই পৌরসভার প্রশাসক আমার জানা নেই, এই বিষয়ে কোনো চিঠি পাইনি।

তিনি আরো বলেন, কর্পোরেশন বা পৌরসভার নির্বাচন হলে আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। নিরপেক্ষ ভোট হলে কর্পোরেশনে জিতবে বিজেপি এবং পৌরসভা ভোট হলে বিজপুরের দুই পৌরসভাতেই বিজেপি জিতবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − 12 =