তৃণমূল নয়, যোগ্য সম্মান দিয়েছে বিজেপি: অর্জুন সিং
——————
ব্যারাকপুর: দুর্দিনে তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও যোগ্য সম্মান মেলেনি। যা মাত্র এক বছরের মধ্যেই মিলেছে বিজেপির থেকে। এমনই মনে করছেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি অর্জুন সিং।
বামেদের ভরা বাজারেও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি ছিল তৃণমূলের দখলে। ওই কেন্দ্রের চারবারের বিধায়ক অর্জুন সিং। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের তাঁর দাপটের কথা কারো অজানা নয়। সমগ্র ব্যারাকপুরে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা ছিল অর্জুনের।
২০০৯ সালে ছয়বারের বাম সাংসদ তড়িৎ তোপদারকে হারাতে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর ভরসা ছিলেন অর্জুন। ২০১৪ সালেও এই অর্জুনের ভরসাতেই লক্ষ্যভেদ করেছিলেন দীনেশ।
রাজ্য রাজনীতিতে বাম জমানা থেকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে আসছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা। একগুচ্ছ মন্ত্রী থেকে শুরু করে বড়মাপের বেশকিছু নেতা ছিল এই জেলার। পালাবদলের পরে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু অর্জুন সিং তেমন কোনও পদ পাননি। তাঁকে দলের অভ্যন্তরেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদ দেওয়া হয়নি। খাদ্যমন্ত্রকের পাশাপাশি জেলা সভাপতি হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
জানা যায়, ২০১৯ সালে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন অর্জুন। যদিও তাতে সিলমোহর দেননি মমতা। তাতেই বিরাগভাজন হয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লেখান তিনি। পদ্মের প্রার্থী হয়েই ব্যারাকপুর থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন তিনি। সেই অর্জুনকেই রাজ্য কমিটিতে জায়গা দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। তাও আবার সহ-সভাপতির পদে।
এতেই নিজেকে বিশেষ সম্মানিত মনে করছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর কথায়, “আমি বাম জমানায় অনেক আন্দোলন করেছি। ব্যারাকপুরে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করেছি। কিন্তু বিজেপি আমাকে অনেক বড় দায়িত্ব দিয়েছে। রাজ্যের সহ-সভাপতি করেছে। এটা আমার কাছে একটা বড় সম্মান। যেটা তৃণমূল থেকে আমাকে দেওয়া হয়নি।” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “মানুষের পাশে সবসময় ছিলাম, এখনও আছি এবং থাকব। দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করব। আমাদের নেতৃত্বকে ধ্যনবাদ, আমার উপরে ভরসা রাখার জন্য।”